আজ বৃহস্পতিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘কখনই গাঁজা সেবন করিনি ’

নিজস্ব প্রতিবেদক:

‘আতঙ্কে আছেন’ নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান। প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান ‘পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চাচ্ছেন’ বলে অভিযোগ করেন কাজিম উদ্দিন। শনিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে তিনি শঙ্কার কথা জানান।

শুক্রবার রাতে সাবদী এলাকায় স্থাপিত নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানান কাজিম উদ্দিন। তিনি বলেন, এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেবেন। একই সাথে রিটার্নিং কর্মকর্তাকেও জানাবেন। প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধানের লোকজন এই ভাঙচুর চালিয়েছেন বলে অভিযোগ নৌকার প্রার্থীর।

কাজিম উদ্দিন জানান, শুক্রবার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবদী এলাকায় অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্পটি স্থাপন করা হয়। রাতে ক্যাম্পে থাকা লোকজন বাড়ি চলে যাওয়ার পর আনুমানিক ১টা কিংবা দেড়টার দিকে ওই ক্যাম্পে ভাঙচুর চালানো হয়। ক্যাম্পের চারপাশের কাপড়ের বেষ্টনি এবং পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়।
তিনি বলেন, লাঙ্গলের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনের লোকজনই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই এলাকায় লাঙ্গলের চারটা ক্যাম্প আছে। সেগুলো সবই অক্ষত। অথচ দিনে স্থাপন করা নৌকার ক্যাম্প রাতেই নষ্ট করে দিয়েছে তারা। এ বিষয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের জানানো হয়েছে। থানায়ও অভিযোগের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
কাজিম উদ্দিন বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছি। তাদের দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবো। স্থানীয়দের অনেক সমর্থন পাচ্ছি। শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও আমার পক্ষে আছেন। এই কারণেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভীত হয়ে গেছেন। নির্বাচনী মাঠ এখন পর্যন্ত ঠিকঠাক আছে। তবে আমি আতঙ্কে আছি। আমার লোকজনকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়ার চেষ্টা করতেছে। তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। আমি চাই সুষ্ঠ নির্বাচন। সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণই তার প্রতিনিধিকে নির্বাচন করবেন।

গত বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির এমপি সেলিম ওসমানের দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি কখনই গাঁজা সেবন করিনি। এই ধরনের কথাবার্তা যারা বলেন তাদের বুঝে-শুনে কথা বলা উচিত। আর কী ধরনের বক্তব্য দেওয়া হয়েছে সেইটা সবাই শুনেছে। সুতরাং সকলেরই এই বিষয়ে জানা আছে।’